কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় -কোন ভিটামিন ত্বকের কালো দাগ দূর করে


প্রিয় দর্শক আপনারা হয়তো অনেকে কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় -কোন ভিটামিন ত্বকের কালো দাগ দূর করে এ সম্পর্কে খোঁজাখুঁজি করেও সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। আজকে আমরা আর্টিকেল এর মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব যা আপনাকে কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় -কোন ভিটামিন ত্বকের কালো দাগ দূর করে এই সম্পর্কে ধারণা দেবে। কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে মনোযোগ সহকারে সমস্ত আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়


প্রিয় দর্শক এখানে আমরা আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করছে তার মধ্যে কিভাবে প্রাকৃতিকভাবে তা উজ্জ্বল করা যায়, কোন ভিটামিন ত্বকের কালো দাগ দূর করে,এবং মুখের ত্বক কতবার পুনরুজ্জীবিত হয় এ বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে সমস্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে দেখুন এবং পড়ুন।

ভূমিকা

একটি ভালো ত্বক কে না চাই। সবাই একটু ভালো ত্বকের জন্য অনেক ধরনের উপকরণ ব্যবহার করতে ব্যস্ত। কিন্তু এই উপকারের মধ্যেই থাকে অনেক সময় ত্বকের জন্য ক্ষতিকর দিক। আজকে আমরা সে বিষয়ে জানব। ভাবে তখন জল রেখে আরো সুন্দর করা যায়।

কিভাবে প্রাকৃতিকভাবে ত্বক উজ্জ্বল করা যায়?

সবাই চাই প্রাকৃতিকভাবে তার ত্বক সুন্দর হোক। এজন্য মানতে হবে কিছু নিষেধাজ্ঞা। এবং কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। চলুন আলোচনা করা যাক কিভাবে প্রাকৃতিকভাবে তা উজ্জ্বল করা যায়-

পানি
পানি হয়েছে সবার প্রথম একটি উপাদান যা ত্বক সুন্দর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেলে ত্বকের কমলতা ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে কম পরিমাণ পানি পান করলে ত্বকে ব্রণ সহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়, এখানে পানির অভাবে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সুস্থ স্বাভাবিক ত্বক পেতে নিয়মিত কমপক্ষে দেড় থেকে দুই লিটার এর মধ্যে পানি পান করা উচিত।
গ্রিন টি
গ্রিন টি সাধারণত মানুষ ব্যবহার করে স্বাস্থ্য কমানোর জন্য। কিন্তু আপনারা জানলে অবাক হবেন যে গ্রিন টি ত্বক এর জন্য দারুণভাবে একটি ইফেক্ট ফেলে। আপনার ত্বকে করে দেই অনেক বেশি উজ্জ্বল। অনেক দেশেই গ্রিন টি শুধু স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য নয়, উজ্জ্বলতার জন্যও ব্যবহার করা হয়। গ্রিনটিতে রয়েছে অনেক কিছু,যেমন -অ্যামাইনো এসিড, ভিটামিন বি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এনজাইম সহ আরো বেশ কিছু উপাদান। গ্রিন টি শরীরের জমে থাকা টক্সিন গুলোকে বের করে ত্বককে উজ্জল করতে সাহায্য করে। এছাড়াও দেখা গেছে, ত্বকের কাটা দাগ, ছোপ ছোপ দাগ বা লালচে ভাব সাহায্য করে।

টমেটো
আদিমকাল থেকেই ত্বকের যত্নে টমেটো ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই।এর কারণ হলো টমেটোতে রয়েছে পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে। যার কারণে কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়,  ত্বক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে দারুণভাবে সাহায্য করে। টমেটোকে সানস্ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করে। কারণ টমেটোতে রয়েছে লাইসোপিন নামক গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। জা ত্বকের বলিরেখা শুষ্ক ভাব ও বিভিন্ন দাগ দূর করে ত্বককে মসৃণ রাখে।

গাজর
গাজর নিয়মিত খেলে সাধারণত ত্বক উজ্জ্বল ও সজীব থাকে। গাজর ত্বকের ভেতরের টিস্যু মেরামত করতে ও ক্ষতিকর সূর্যের রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে। গাজরের ভিতরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে সাথেসাথে ভিটামিন এতে পরিণত হয়। এবং আমরা জানি ভিটামিন এ ত্বকের জন্য খুবই।

বাদাম
বাদামে রয়েছে ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন -ই ত্বকে সজীব ও লাবণ্যময় করে রাখতে সাহায্য করে।

কলা
কলায় রয়েছে ভিটামিন এ যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী পাশাপাশি এটি ত্বকের মলিনতা দূর করতে সাহায্য করে।

ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ
আমরা প্রায় মাছের চর্বি ফেলে দেই বা খায় না। কিন্তু মাছের চর্বি শরীরের বেশ উপকারী। অনেক মাছে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড যেটা ওমেগা -৩ নামেও পরিচিত। এ ধরনের এসিড খাদ্য তালিকায় রাখলে ত্বকের অনেক উপকার হবে। কারণ ফ্যাটি এসিডে রয়েছে প্রাকৃতিক তেল যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজি শরীর উপকারের জন্যই আমরা জানি। সবুজ শাকসবজি পরিমাণে খেলে এবং সালাত করে খেলে ত্বক সঠিক পরিমাণ পুষ্টি পায় এবং সুস্থ থাকে। যার কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

তো উজ্জ্বল করার জন্য কোন ফল খাওয়া উচিত?

বর্তমানে তপ উজ্জ্বল করার জন্য আমরা অনেক কিছুই ব্যবহার করি। তবে প্রাকৃতিকভাবেও ত্বক উজ্জ্বল করা যায়। প্রাকৃতিকভাবে তা উজ্জ্বল করার জন্য খেতে হবে ফল। ফল খেলে উজ্জ্বল হবে সেগুলো হলো -
  • শসা
  • ডালিম
  • পেঁপে
  • পেয়ারা
  • কলা
  • নারিকেল

ত্বকের জন্য কোন ভিটামিন ভালো?

ত্বক উজ্জ্বল রাখা এখন একটি রেষারেষি ব্যাপার। আমরা সবাই চাই ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে। তোকে লাবণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে অনেকগুলো ভিটামিন। কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এইটায় মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

ভিটামিন এ
ভিটামিন এর অভাবে ত্বক খসখসে সূক্ষ্ম ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। ভিটামিন এ পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে ত্বকে লাবণ্য বজায় রাখে।

ভিটামিন বি
ত্বকে রোদে পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এই ভিটামিন। তাছাড়া বিভিন্ন এলার্জির সমাধান এই ভিটামিন বি।

ভিটামিন সি
ভিটামিন সি ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বক এর ভেতরের বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ক্ষা করে।
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়


কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়?

ব্রণ সাধারণত বয়সন্ধিকালে হয়ে থাকে। মাঝেমধ্যে এ ব্রণের সাথে সম্পর্ক থাকে ভিটামিনের। দেখা যায় ভিটামিন অভাবের কারণেও মুখে ব্রণ হয়ে থাকে। গবেষণা দেখা গেছে ভিটামিন -ডি এর সাথে ব্রণের একটি শক্তিশালী সংযোগ রয়েছে। এ গবেষণায় দেখা যায় প্রায় রোগীদের ভিটামিনের ডি অভাব থাকে।

ভিটামিন ডি এর অভাবে অনেক সময় দেখা যায় ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় ত্বক ফ্যাকাশে বা বিবর্ণ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সহজে ত্বক তার ক্ষত কত চায় না।এজন্য ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হয়। কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এইটা বের করে সেই ভিটামিন পূরণ করতে হবে।

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গুলো হল -স্যামন,পনির, ডিম, মাশরুম, দুধ, চিকেন, অ্যাভোকাডো, সয়া, টুনা এবং পিনাট বাটার এর মত চর্বি যুক্ত খাবার হয়ে থাকে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে সূর্যের আলোতে একটু বসলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

কোন ভিটামিন ত্বকের কালো দাগ দূর করে?

ত্বক উজ্জ্বল থাকলেও অনেক সময় দেখা যায় মুখে ছোপ ছোপ কালো দাগ। মুখটাকে বিশ্রী করে তোলে।এবং এ কারণে অনেকে হতাশায় ভুগেন। অনেক সময় দেখা যায় সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলেও এমন সমস্যা দেখা দেয়। 
তবে সবসময় বেশিরভাগ সমস্যা দেখা দেয় ভিটামিনের কারণে। ভিটামিনের অভাব হলে ত্বকে কালো দাগ দেখা দেই। এ কালো দাগ দূর করার জন্য ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি ও জিংক এগুলো ব্যবহার করলেই কালো দাগ দূর হয়ে যায়।

কোন ভিটামিনের মাধ্যমে মুখের পিগমেন্টেশন দূর হয়?

পিগমেন্টেশন নিয়ে সকলে অনেক চিন্তায় থাকেন। পিগমেন্টেশন দূর করার জন্য বিশেষভাবে সাহায্য করে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও বিটা ক্যারোটিন। এগুলো পিগমেন্টেশনের জন্য অনেক উপকারী। পিগমেন্টেশন এর সময় ভিটামিন সি,ভিটামিন ই ও বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মুখের ত্বক কতবার পুনরুজ্জীবিত হয়?

ত্বকের সঠিক যত্ন নিলে ত্বক পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে পুনরুজ্জীবিত হওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন সময় নেই। অংশের সাথে করতে হয় সঠিক যত্ন। শিশুদের ক্ষেত্রে ত্বক পুনরুজ্জীবিত হওয়ার জন্য প্রায় ১৪ দিনের মতো সময় নিয়ে থাকে। কিশোরদের জন্য প্রায় ২৮ দিনের মতো সময় নিয়ে থাকে। মধ্য বয়সের জন্য এটি প্রায় ২৮ থেকে ৪২ দিনের মধ্যে সময় নিয়ে থাকে। এবং বৃদ্ধদের জন্য এটি ৮৪ দিন পর্যন্ত সময় নিয়ে থাকতে পারে।

হঠাৎ ত্বক উজ্জ্বল হয় কেন?

অনেক সময় দেখা যায় হুট করে ত্বকটি উজ্জ্বল দেখাচ্ছে।ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু কারণ। কারণগুলো হল বৈজ্ঞানিকভাবে খেয়াল করা হয়েছে কোষ পুনরুজ্জীবিত হলে এবং রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে চললে ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। ত্বক সুন্দর রাখতে এবং উজ্জ্বল রাখতে ত্বক পূর্ণবীকরণ করা প্রয়োজন।
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়


লেখক এর মন্তব্য

ত্বকের উজ্জ্বলতা প্রাকৃতিক ভাবে রাখতে অবশ্যই সব নিয়ম মেনে চলবেন। কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এটি জানার পর অবশ্যই ভিটামিনের অভাব গুলো পূরণ করার চেষ্টা করবেন। কোন সাইড ইফেক্ট দেখা দিলে অবশ্য ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

আমার আর্টিকেলটি যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। সবাই ভাল থাকবেন এবং দোয়া রাখবেন। নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন যদি আমার আরটিকাল গুলো আপনার পছন্দ হয়ে থাকে এবং দেখার মধ্যে কোন ভুল হয়ে থাকলে অবশ্য কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url