নাভির পাশে পেট ব্যথা হয় কেন-ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায়

প্রিয় দর্শক নাভির পাশে পেটব্যথা হয় কেন-ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্টিক কমানোর উপায় সম্পর্কে হয়তো আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। আজকে আমরা এ আর্টিকেল এর মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব যা আপনাকে নাভির পাশে পেট ব্যথা হয় কেন -ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্টিক কমানোর উপায় বিষয়ে ধারণা দেবে। নাভির পাশে পেট ব্যথা কেন হয় এ বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে মনোযোগ সহকারে সমস্ত আর্টিকেলটি পড়তে অনুরোধ রইলো। 

নাভির পাশে পেট ব্যথা হয় কেন


প্রিয় দর্শক এখানে আমরা আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করছি তার মধ্যে গ্যাস্টিক হলে কি কি খাওয়া যাবেনা, পানি খেলে কি পেট ব্যথা কমে ও নাভির পাশে পেটব্যথা হয় কেন -ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্টিক কমানোর উপায় উল্লেখযোগ্য। এরকম আরো ইম্পর্টেন্ট তথ্য পেতে সমস্ত আর্টিকেলটি সহকারে দেখুন এবং পড়ুন।

ভূমিকা 

মানবদেহে অনেক ধরনেরই অসুখ থাকে। তার মধ্যে পেট ব্যথা একটি কমন অসুখ। এটি প্রায় দেখা যায় হতেই থাকে। আজকে আমরা জানবো কি কি কারণে এমন পেট ব্যথা হয়।নাভির পাশে পেট ব্যথা হয় কেন -ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো। 

পেট ব্যথা কি কি কারনে হয়ে থাকে 

পেট ব্যথা বিশেষ কোনো রোগ না হলেও এর পেছনে থাকে অনেকগুলো কারণ। অনেক সময় দেখা যায় অনেক মানুষ পেট ব্যথা নিয়েও মারা যায়। এক্ষেত্রে কারণগুলো জেনে মুক্তির উপায় জানা উত্তম। মানবদেহে পেট এমন একটি জায়গা অবস্থানে আছে যেখানে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ একে অন্যের সাথে যুক্ত হয়ে আছে। এজন্য পেট ব্যথার অনেকগুলো কারণই থাকতে পারে তারমধ্যে নাভির পাশে পেট ব্যথা হয় কেন -ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় সম্পর্কেও দেওয়া থাকবে। পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ কি এগুলোও উল্লেখ থাকবে। যে কারণগুলো উল্লেখ করা হলো -

গ্যাসের ব্যথা 

খাবার খাওয়ার পর খাদ্য আমাদের পেটে যায়। পেটে এ খাদ্য পরিপাক হয়। এই পরিপাকের সময়েই পেটে গ্যাস তৈরি হয়। বিভিন্ন খাবারে অনেক সময় বেশি গ্যাস উৎপন্ন হয়ে যায়। যেমন ডাল, আঁশযুক্ত খাবার, শাকসবজি ইত্যাদি।এ খাবারগুলো আমাদের পরিপাকতন্ত্রে অত্যাধিক গ্যাস উৎপন্ন করে ফেলে। মানব দেহ থেকে গ্যাস স্বাভাবিক নিয়মে বের হয়ে যায়। তবে অতিরিক্ত গ্যাস উৎপন্ন হলে সেটা পরিপাকতন্ত্রের মধ্যে জমতে শুরু করে।

আরও পড়ুনঃলিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

এর ফলে পরিপাক তন্ত্রের কাজ ব্যাহত হয়, যার ফলাফল পেটে যন্ত্রণা হতে শুরু করে। দীর্ঘদিনের অযত্নে গ্যাস থাকলে এই সমস্যা বৃদ্ধি পেয়ে চিরস্থায়ী হয়ে যেতে পারে। নাভির পাষে পেট ব্যাথা হয় কেন-ঘরোয়া উপায়ে গাস্ট্রিক কমানোর উপায় জানতে নিচ অব্দি পড়ুন। সময় থাকতে এই গ্যাস নিয়ন্ত্রণের চিকিৎসা শুরু করা উচিত। এই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে চলতেও খাদ্যের দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ খাদ্যই প্রথমত গ্যাস তৈরি করে। 

অম্বলের ব্যথা 

আজকাল প্রায় ছোট বাচ্চা থেকে প্রাপ্ত বয়স্ককেরা জাঙ্কফুড বা চর্বিযুক্ত খাবার, তেল মসলা যুক্ত খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে থাকে। এসব খাবার খাওয়ার পরে অম্বলের সমস্যা শুরু হয়। অম্বল ব্যথার কিছু উপসর্গ দেওয়া হল -

  • পেট ভার হয়ে থাকে 
  • মুখটাক হয়ে যায় 
  • পেট ও বুকের মধ্যে যারা অনুভূতি সৃষ্টি হয় 
  • টক ঢেঁকুর উঠা শুরু করে

প্রথমত আমরা একটা ভুল করে থাকি যেটা হচ্ছে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে আমরা এন্টাসিড খেয়ে ফেলি। এটি সাময়িক সমস্যা থেকে আমাদের মুক্তি দেই। কিন্তু পরবর্তীতে আবার একই ঘটনা বারবার হতে থাকলে এবং অ্যান্টাসিড খেয়ে থাকলে এটি একটি বড় বিপদে দিতে পারে।করপাকতন্ত্রের অতিরিক্ত এসিড পাকস্থলী ও হজম এর অন্যান্য অঙ্গের বিভিন্ন স্থায়ী ক্ষতি করে দিতে পারে। অতএব এ কারণে অম্বলের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া উচিত। 

বদ হজমের কারণে ব্যথা 

মানবদেহে পেটে খাদ্য গ্রহণের ও হজম করার একটি নির্দিষ্ট  ক্ষমতা থাকে। কিন্তু সেই ক্ষমতার বাইরে বেশি খাবার খেয়ে ফেললে বদ হজম হতে পারে। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন না করলে বদ হজম বিপদের মুখে ফেলতে পারে। সেই সাথে বাসায় বা বাড়িতে কিছু শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করলে বদহজম নিরাময় করার সহজ। যেহেতু বদ হজমের সমস্যা থেকে কোন মুক্তি নেই। আবার গবেষকরা জানান পরিপাকতন্ত্রের কোন অংশ যদি কোন রোগ হয় তাহলেও বদহজম হতে পারে। যদি ঘন ঘন বদ হজমের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তার দেখানো অবশ্যক।

আলসার 

মানবদেহে পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্তের যে ক্ষত সৃষ্টি হয় তাকে আলসার বলে। আলসারও অনেক ধরনের কারণে হতে পারে। যেমন -

  • দীর্ঘ সময় পেট খালি রাখা অর্থাৎ না খেয়ে থাকা। 
  • পাকস্থলীতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দেখা 
  • নিয়মিত মানসিক দুশ্চিন্তা করা। 
  • নিয়মিত তৈলাক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া। 
  • দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রধান অতি ওষুধের ব্যবহার করা। 

আলসার  হলে যেভাবে বুঝবেন

  • পেটের ওপরের দিকে মাঝে মাঝে ব্যথা 
  • পেট কামড়ানো 
  • নিয়মিত টক ঢেঁকুর উঠা।
  • পেটের উপরে এবং পেটের মাঝখানে জ্বালার অনুভব হয়।

এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন অতি দ্রুত। প্রথম পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লে ও  চিকিৎসা শুরু হলে অবশ্যই আলসারের নিরাময় করা সম্ভব। 

পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ কি 

পেটে সাধারণত ব্যাথা হয় অনেক কারণে। পেট ব্যথা হওয়ার প্রথমত একটি বড় বিষয় হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। সাধারণত বাইরে অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে এ ধরনের পেট ব্যথা দেখা যায়। পেটের বাম পাশে ব্যাথা হওয়ার প্রথম কি এর প্রথম কারণ হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম, বদ হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে হতে পারে। আবারো সংক্রমণ বা প্রদাহের কারণে শরীরের ভেতরের যে অঙ্গগুলো সংক্রামিত হয়, যেমন কিডনি বা পাকস্থলী এগুলোতে তখন জ্বালা বা ব্যাথা হতে পারে।

আরও পড়ুনঃজেনে নিন গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা গুলো

গ্যাসের কারণে কি তলপেটে ব্যথা হয় 

আমাদের মানবদেহে সৃষ্টি হয় অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা আসলে যুক্ত খাবার খেলে। গ্যাস সাধারণ নিয়মে থেকে বের হয়ে যায়। তবে অতিরিক্ত গ্যাস সৃষ্টি হলে সেটা পেট ব্যথার রূপ নেই। অতিরিক্ত গ্যাসের কারণেই শরীরে মধ্যে ক্রাম্পিং বা পেটে ব্যাথা। গ্যাসের কারণে তলপেট ব্যথা হয়ে থাকে। তবে মাঝেমধ্যে মেয়েদের মাসিকের কারণেও তলপেট ব্যথা হয়ে থাকে। মানসিক চাপের কারণে ও মাঝেমধ্যে পেট ব্যাথা, মাথাব্যথা, ইনসমনিয়া, উচ্চরক্তচাপ ও ঘুমের সমস্যা দেখা দেই। 

নাভির পাশে পেট ব্যথা হয় কেন


নাভির পাশে পেট ব্যথা হয় কেন 

আমরা এখন জানবো নাভির পাশে পেট ব্যাথা হয় কেন -ঘরে উপায়ে গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায়। একজন ব্যক্তির নাভি তে অনেক কারণেই করতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গর্ভাবস্থায়। আরো কিছু ছোট ছোট কারণ হয়ে থাকতে পারে। অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর কারণেও নাভির পাশে ব্যথা হওয়ার সৃষ্টি হতে পারে। মূলত এর উপসর্গই হল ব্যাথা সৃষ্টি হওয়া এবং পেট জুড়ে ব্যাথার সৃষ্টি করে, প্রায় দেখা যায় পেটের ডান পাশের নিচ পর্যন্ত এই ব্যথা সৃষ্টি হয়। 

ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় 

গ্যাস্ট্রিক যেমন তৈলাক্ত খাবার ও মসলাযুক্ত খাবারের কারণে হয়ে থাকে তেমনই এটি ঘরোয়া উপায়ে নিরাময় করা সহজ। জানা যাক কমানোর উপায় -

ভেষজ চা 

যদি একজন ব্যক্তির ঘনঘন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এর জন্য দায়ী হতে পারে সংক্রমণ সমস্যা,স্নায়বিক সমস্যা, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও আইবিএস ইত্যাদি। যদি  এ সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই এক কাপ পান করুন। 

এইটা তৈরি করতে আপনাকে অবশ্যই ঘরে থাকা দিয়ে তৈরি করতে হবে। যেমন মরি ও আদা ইত্যাদি। এই ভেষজ চা তাৎক্ষণিকভাবে আপনার শরীরের ফোলা ভাব, গ্যাস, বুক জ্বালা, শিশুদের কোলিক এবং ক্ষুধা হ্রাস করতে সাহায্য করবে। 

ঠান্ডা দুধ 

অনেক সময় এসিডিটি অ্যাসিড রিফ্লেক্সের সময় জ্বালাপোড়া থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়ার জন্য এক গ্লাস ঠান্ডা চিনিহীন দুধ পান করলে সাথে সাথেই সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দুধে রয়েছে সিয়াম যার কারণে এসিডকে নিরপেক্ষ না করে বরং এর উপাদানগুলোকে বাধা দেই। 

পুদিনার জুস 

গ্যাস্ট্রিক সমস্যার জন্য যদি অপনারা পুদিনা চাটনি বা পুদিনার চা করে যদি সেবন করা যায় তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এটি পেট ব্যাথা কমাতেও সাহায্য করে। আবার পুদিনার রস কিরেও খাওয়া যায়।

লেবু পানি 

প্রায়ই দেখা যায় অনেকে সমস্যা হলে লেবু পানি খেতে চাই। আসলে লেবু পানি অনেক উপকারী। তাৎক্ষণিকভাবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে উপশম পেতে হলে লেবু পানি কিংবা লেবু চা খেতে পারেন। অনেক সময় লেবুপানির স্বাদ বাড়ানোর জন্য অনেকে কালো লবণ, জিরা ভাজা গুড়া ও আজাওয়াইন মিশিয়ে খায়।আবার এক গ্লাস লেবু পানিতে বেকিং সোডা যোগ করে খেতে পারেন। সেটার পরিমাণ হবে এক চিমটি। বেকিং সোডার কারণে এসিডিটি কমে ও হজমে সহায়তা হয়। 

লবঙ্গ 

লবঙ্গ যদি দিনে ২-৩ টি মুখে দিয়ে চুষা যায় তাহলে যেমন গ্যাস, বুক জ্বালা ও বমি বমি ভাব দূর হয় তেমনি মুখের দূর্গন্ধ দূর হয়।

এলাচ 

এলাচ দিনে ২-৩ টি অম্বলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

ইসবগুল 

পেট খারাপ বদহজম ও আলগা মল উপশম করার জন্য ইসবগুল বিস্ময়কর কাজ করে। গ্যাস্টিক সমস্যায় সাহায্য করে ইসবগুল। গরম দুধের সাথে এই ইসবগুল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সম্ভব হয়। 

দই 

পেটের ভেতরে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যে গন্ডগোল হলেও পেট ব্যথা শুরু হয়। এক্ষেত্রে দুই এর মত প্রবায়োটিক খেলে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রেখে পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এ কারণে অনেক বাড়িতে সমস্যা হলে দই ভাত ও দই চিড়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন বাড়ির গুরুজনরা।

পানি খেলে কি পেট ব্যথা কমে 

অনেক সাবধান থাকার পরেও মাঝেমধ্যে বাইরের খাবার খাওয়া হয়েই যাই। এরপর শুরু হয় অত্যাধিক পেট ব্যথা। শুরু হয় নানা ধরনের অসুখ।বমি বমি ভাব, এসিডিটির সমস্যা, পেট খারাপ ইত্যাদি নানারকম। এইসব সমস্যার সমাধানও রয়েছে ওষুধের মাধ্যমে। কিন্তু পেট ব্যথার সমস্যার কোন সমাধান নেই। এক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক সময় প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে পেটে পদার্থগুলো বেরিয়ে যায় শরীর থেকে। এরপর শরীর অনেকটাই নিস্তার পাওয়া যায়। 

গ্যাস্টিক হলে কি কি খাওয়া যাবেনা 

গ্যাস্ট্রিক টি শুরুই হয় বিভিন্ন রকম তৈলাক্ত খাবার ও যুক্ত খাবার ও চর্বি জাতীয় খাবার থেকে। এগুলো খাওয়ার পরই গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম শুরু হয়ে থাকে। তাই গ্যাস্ট্রিক জন্য প্রথমেই জানতে হবে কি কি খাওয়া যাবেনা।এছাড়াও নাভির পাশে পেট ব্যথা হয় কেন-ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায়  সম্পর্কে তো আমরা জেনেছি। জানাজা গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যার সমাধানে প্রতিরোধ করা উচিত। অতিরিক্ত ঝাল, মসলাযুক্ত এবং চর্বি জাতীয় খাবার, তেল, দুধ বা দুধের তৈরি খাবার, বিভিন্ন ধরনের শাকপাতা, ফাস্টফুড, চা, কফি, ধূমপান, জাতীয় পানীয় ও অ্যালকোহল এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। 

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানে আজ থেকে শুরু করুন পরিহার করা উপরোক্ত খাবারগুলো। আরেকটি কাজ করে যেতে পারে সেটি হল একেবারে সব খাবার বেশি করে না খেয়ে দিনে অল্প পরিমাণে বারবার খাওয়া যাবে। প্রতিদিন সময় ধরে হাটা ও ব্যায়ামের অভ্যাসটা গড়ে তুলতে হবে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর অভ্যাস রাখতে হবে। 

আরও পড়ুনঃব্যাংক লোন কিভাবে নেবেন- বাংলাদেশের সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক 

অনেক সময় দেখা যায় অনেকের আবার গ্যাস্ট্রো ইসোফিজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ থাকে। তাদের জন্য পরামর্শ থাকবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, ঘুমানোর সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে মাথার উপরের দিকের অংশ উপরে রাখতে হবে, পোশাক পরিধানে খেয়াল রাখতে হবে যেন পোশাকটি আঁটসাট না হয়, খাবার খেতে খেতে মাঝখানে পানি খাওয়া যাবেনা, রাতে ঘুমানোর অবশ্যই কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেতে হবে। 

নাভির পাশে পেট ব্যাথা হয় কেন


লেখক এর মন্তব্য 

নাভির পাশে পেট ব্যথা হয় কেন -ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্টিক কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনারা জেনেছেন। খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত দেখে সমস্যা হয়ে গেলে এবং ঘরও উপায়ে কমানো না গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে প্রতিরোধের সময় কোন সমস্যা দেখা দিলে অতি দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে। 

আমারে আর্টিকেলটি যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। সবাই ভালো থাকবেন এবং দোয়া রাখবেন। নিয়মিত ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন যদি আমার আর্টিকেলগুলো আপনার পছন্দ হয়ে থাকে। এবং কোন ভুল হয়ে থাকলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url