জেনে নিন গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা গুলো



প্রিয় দর্শক গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে হয়তো আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব যা আপনাকে গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে কি উপকারিতা পাবেন বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে মনোযোগ সহকারে সমস্ত আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।




প্রিয় দর্শক এখানে আমরা আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করছি তার মধ্যে ড্রাগন ফলের ঘোষের উপকারিতা এবং ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা ও আরো রয়েছে যেমন ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম উল্লেখযোগ্য। এরকম আরো তথ্য পেতে সমস্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে দেখুন এবং পড়ুন।

ভূমিকা

ফল খেতে কে না ভালোবাসে। ফল সবার একটি পছন্দের খাবার। সেটি হোক খাবারের আগে অথবা পরে। কিন্তু কিছু ফল গর্ভাবস্থায় খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যদিও সব ভলি পবিত্র এবং গর্ভের শিশুর জন্য উপকারী তবুও কিছু ফলের সাইড ইফেক্ট রয়েছে।

যার কারণে গর্ভাবস্থায় যে কোন কিছু খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অথবা অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত। ড্রাগন ফল তেমনই এক ধরনের ফল। যা খাওয়ার অনেক ভালো দিক রয়েছে। সে সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

ড্রাগন ফলের পরিচিতি

ড্রাগন ফল একটি বিদেশি ফল যা মূলত আমেরিকার একটি ফল। তবে বাংলাদেশেও এখন বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ফলটি। চলুন জানা যাক ড্রাউন ফলটি কিভাবে চাষ করবেন।ড্রাগন ফল এক ধরনের ক্যাকটাস জাতীয় গাছ কেননা এই গাছেরও কোন পাতা নেই।

প্রায় সব ড্রাগন ফলের উচ্চতা ১.৫ থেকে ২.৫মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি যা তৈরি করেছে ড্রাগন ফলে এটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। বারি ড্রাগন-১। ড্রাগন ফল সাধারণত বড় সাইজের হয়ে থাকে এর খোসার রং লাল হয়ে থাকে্। এই ফলটি রসালো।এর বীজগুলো কালো ছোট ও নরম হয়।

আরও পড়ুনঃজেনে নিন মুরগি পালনের সুবিধা গুলো কী কী

ড্রাগন ফল তিন প্রজাতির হয়ে থাকে -

১. এই ড্রাগনটি কে লাল ড্রাগন ফল বা পিটাইয়া বলা হয়। এটির খোসার রং লাল ও সাদা হয়। এ ধরনের ড্রাগনই বাজারে বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

২. আর একটি ধরনের হলো কোস্টারিকা ড্রাগন। এই ড্রাগনের খোসা ও শাঁস উভয়েই লাল হয়ে থাকে।

৩. সর্বশেষ ড্রাগনটি জাত হলো হলুদ। এটা কোনটি হলুদ রঙের হয়ে থাকে। এই ড্রাগন ফলের খোসা হলুদ রঙের ঊষা সাদা রঙের হয়ে থাকে।

ড্রাগন ফল নিজের মাধ্যমে বা অঙ্গজ পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে থাকলেও মাতৃ গুণাগুণ গুলো বজায় রাখার জন্য অঙ্গজ পদ্ধতি বেছে নেয়। অর্থাৎ শাখা প্রশাখা গুলো কেটে নতুনভাবে চাষ করাই অঙ্গজ পদ্ধতি। এ অঙ্গজ পদ্ধতির সফলতা প্রায় শতভাগ এবং খুব তাড়াতাড়ি গাছটি বড় হয়।গাছে ফুল ফোটার মাত্র 30 থেকে 40 দিনের মধ্যে ফল খাওয়ার উপযুক্ত সময় হয়ে যায়।

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম

আদি যুগ থেকেই ফল খাওয়া হয় বিভিন্ন উপকারী হিসেবে। ফল শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, স্বাস্থ্য ঠিক রাখে এবং বিভিন্ন অসুখে ফল জুস করে খাওয়া হয়। প্রতিটি ফলই হয় সুস্বাদু। যা সহজে মানুষকে দ্বিতীয় বার খেতে আকর্ষণ করে।

তবে অতিরিক্ত ফল খাওয়া ঠিক নয়। ফল খাওয়ার একটি সঠিক নিয়ম জানতে হবে। আজকে আমরা জানবো ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম যা আপনাকে বিভিন্ন বিপদের মুখ থেকে বাঁচাবে। যে কোন খাবারই খালি পেটে খেতে হয় না।

তার ব্যাতিক্রম ড্রাগন ফল ও নাই। এই ফলটি একটি ভারী খাবার। তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন এটি সকালে খালি পেটে না খায়। সকালে কিছু খাওয়ার পর অথবা দুপুরের একটু আগে এই ফলটি খাওয়া যেতে পারে। তেমনি রাতেও খাওয়ার আগে এই ফলটি খাওয়া ভালো কেননা ফলটিতে রয়েছে এসিড। প্রায় বিশেষজ্ঞরা বলেন যে কোন ফল সকালে কিছু খাওয়ার পর খাওয়া ভালো কেননা যে কোন ফলই আমাদের পরিপাকতন্ত্র দ্রুত ভেঙে দেয় এবং ফলটির সমস্ত পুষ্টি দেহে সরবরাহ করে ড্রাগন ফল ও তেমনি পুষ্টিতে ভরা।তাই এই ফলটি খেতে হলে সকালে খাওয়ায় উত্তম।

ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি

ড্রাগন ফল এমন একটি গাছ যা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং অনেকগুলো শাখা তৈরি হয়। যারা ড্রাগন ফলের এর আগেও চাষ করেছে তারা বলে একটি ড্রাগন ফল এক বছরে ৩০ টি শাখা তৈরি করতে পারে ।তবে শাখা প্রশাখা বা গাছটি কি পরিমান ফল দিবে তা নির্ভর করে যত্নের ওপর বা পরিচর্যার উপর এখন জানা যাক গাছটির চাষ পদ্ধতি। আরও পড়ুনঃসঠিক পদ্ধতিতে পটল চাষ করার উপায়

ড্রাগন ফল চাষের জন্য প্রথমে নির্বাচন করতে হবে জমি বা মাটি যেখানে গাছটি রোপন করা হবে । জমিটি হতে হবে উঁচু মাঝারি উর্বর জমি এবং সুনিষ্কাশিত। জমিটিকে ভালোভাবে মই দিতে হবে। ড্রাগন ফল চাষের জন্য সবথেকে উপযোগী সময় হলো এপ্রিল থেকে অক্টোবর অব্দি ।

এই সময়টিতে ড্রাগন ফল চাষ করলে এবং তার পরিচর্যা করলে গাছটি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং স্বাভাবিকভাবেই ফল দেই।অঙ্গজ পদ্ধতিতে ড্রাগন ফল ধরতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় নেই। ১.৫মিটার অনুপাত ১.৫মিটার অনুপাত ১ মিটার আকার গর্ত করে রোদে খোলা রাখতে হবে ।

এবং গর্ত তৈরির ২০ থেকে ২৫ গ্রাম এমওপি, ৫০ গ্রাম জিংক সালফেট, এবং 150 গ্রাম, মাটির সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে গর্তটি ভরাট করে দিতে হবে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে শেষ দেওয়া ভালো হবে। এরপর গর্ত ভরাটের 15 থেকে 20 দিনের পর প্রতিটি গর্তে চারটি করে চারা সোজাভাবে মাঝখান দিয়ে লাগাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে প্রতিটি গর্ত জানো ৫০ সেন্টিমিটার দূরত্বে থাকে । চারা রোপনের পর প্রতিটি গর্তে তিন মাস পর পর ১০০ গ্রাম করে ইউরিয়া দিতে হবে। এই পদ্ধতি এক বছর পর্যন্ত চলবে।




গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় অনেক খাবারই অনেকের খেতে ইচ্ছা হয়। অনেকেই ড্রাগন ফল একটি আদর্শ খাবার হিসেবে নেয় গর্ভাবস্থায়। কারণ তারা মনে করে গর্ব অবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা অনেক বেশি। চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভ অবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা কি কি।

ড্রাগন ফল এক পুষ্টির অমূল্য সঞ্চিত ধন ভান্ডার যা স্বাস্থ্যের জন্যেও এবং পাশাপাশি আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যকর বাড়িয়ে তুলতে অনেক সাহায্যকারী। ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট এর উপস্থিতি এতে গর্ভবতী মহিলারা খেলেও কোন সাইড ইফেক্ট দেখা যায় না বরং বেশ উপকারী হিসেবে প্রমাণিত রয়েছে এই ড্রাগন ফল গর্ভবতীদের জন্য।

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা এর মধ্যে অন্যতম হলো এটি খাওয়ার ফলে শিশুর হাড় গঠনে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে কারণ এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম। গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশেই বৃদ্ধি করে তোলে কারণ এর মধ্যে রয়েছে আইরন পটাশিয়াম এবং একাধিক অন্যান্য প্রোটিন গুলো।

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল অবশ্যই খাওয়া যাবে। কারণ এতে রয়েছে অনেক প্রোটিন যা একটি গর্ভের শিশুকে দিলে শিশুটি স্বাস্থ্যবান ও হবে সুস্থ থাকবে। গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা গুলো আরেকটু ভালোভাবে জেনে নেওয়া যাক।

  •  ফ্যাট বা স্নেহ পদার্থের সমৃদ্ধ উৎস।
  •  শক্তি প্রদকারী কার্বোহাইড্রেট
  • সংক্রমনের বিরুদ্ধে বাধার সৃষ্টি করে
  •  কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে স্বস্তি আনে
  •  হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়
  • হাড়ের বিকাশ সহায়তা করে
  • জন্ম-ত্রুটি গুলো রোধ করে
  • প্র্যাক এক্ল্যা ম্পসিয়া প্রতিরোধ করে

টবে ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি

ড্রাগন ফল বাংলাদেশ এখন অনেক বেশি চাষ হয়। মাঝে মাঝে দেখা যায় অনেকে শখের বসে ছাদে টবে চাষ করতে চাই এই ড্রাগন ফল। তবে সঠিক ধারণা থাকায় চাষ করা সম্ভব হয় না। আজকে আমরা জানব ড্রাগন ফল কিভাবে টবে চাষ করা যায়। ড্রাগন ফল সারা বছরই চাষ করা সম্ভব যদি সঠিক পদ্ধতি জানা থাকে।

ছাদে ড্রাগন ফল টবের মাধ্যমে চাষ করতে চাইলে এবং ভালো ফল পেতে চাইলে এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে চার রোপন করতে হবে। ছাদে ড্রাগন ফল চাষ করতে চাইলে টপ বা ড্রাম ব্যবহার করা যেতে পারে। সব থেকে ভালো হয় যদি আপনি একটি ২০ ইঞ্চি আকারের গ্রাম বাছাই করেন। আরও পড়ুনঃলিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

কারণ ড্রাগন ফল শাখা প্রশাখা ও সেকর ছড়াতে বেশি পারে। এক্ষেত্রে যত বেশি জায়গা পাবে ড্রাগন গাছটি তত বেশি ভালো ফল হবে। সবমাটিতেই ড্রাগন ফল চাষ করা সহজ। তবে একটু ভালো ফলন পেতে চাইলে বেলে দোয়াশ মাটি বাছাই করতে পারেন। প্রথমে আপনাকে মাটিটি আগাছা পরিষ্কার করে নিতে হবে।

তারপর সে মাটিটি গর্ত করে রেখে দিতে হবে ২০ থেকে ২৫ দিন। এরপর গোবর দিয়ে ভালোমতো মাটি টিকে মিশিয়ে নিয়ে রাখতে হবে ।এরপর ৫০ গ্রাম টি এস পি সার সংগ্রহ করে ভালো করে মাটির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এভাবেই ১০-১২ দিন রাখতে হবে। তারপর মাটিকে ভালো করে গর্ত করে আরো ৪-৫ দিন রেখে দিতে হবে।

মাটিটি একটু শুষ্ক হয়ে উঠলে একটি ভালো ড্রাগন ফলের জাতের শাখা কেটে ওই গ্রামে রোপন করে নিতে হবে। ড্রাগন ফলের গাছটি রোজ যুক্ত স্থানে রাখতে হবে।, গ্রামের ভেতর পানি ১৫ দিন পর পর দিতে হবে। অতিরিক্ত পানি জমে গেলে যেন সহজে বের হয়ে যায় এজন্য ড্রামের নিচে একটি ফুটা করে রাখতে হবে।

যেহেতু ড্রাগনের গাছ শাখা প্রশাখা তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি করে সেহেতু একটি খুঁটি দিয়ে ভালোভাবে খুঁটির সাথে থাকা প্রশাখা গুলো বেঁধে নিতে হবে। ভালো হয় যদি একটি টায়ারের সাহায্যে শাখা প্রশাখা গুলো ঝুলিয়ে দেওয়া যায়। এত তাড়াতাড়ি ড্রাগন ফল আসে।

ড্রাগন ফল গাছের পরিচর্যা

যেকোনো গাছের ফলের বা সবজিরে চাষ করতে হলে পরিচর্যা করা অবশ্যক। কেননা পরিচর্যা ছাড়া কোন কিছুই বেড়ে উঠতে পারে না। তাই পরিচর্যা করতে হলে জানতে হবে সঠিক নিয়ম। প্রথমেই যে জমিতে বা মাটিতে বা কোন টবে গাছটি রোপন করার পর আগাছা পরিষ্কার করে নিতে হবে।

আগাছা পরিষ্কার করার ব্যাপারটি প্রতিনিয়ত করায় ভালো। প্রয়োজন পড়লে চার পাঁচ দিয়ে একটি বেড়ার সৃষ্টি করতে হবে। ড্রাগন ফল যেহেতু একটি গর্তের মধ্যে চারটি গাছ লাগানো হয়ে থাকে তাই গাছ নেতিয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা যায় বড় হওয়ার সাথে সাথে। এক্ষেত্রে গাছটি ১.৫ থেকে২.৫ মিটার লম্বা হওয়ার পর পরই চারটি চারার মাঝে একটি সিমেন্টের বাসে তৈরি চার থেকে পাঁচ মিটার লম্বা খুঁটি পুঁতে দিতে হবে ।

যেহেতু গাছটি আরো বড় হবে এবং এর শাখা-প্রশাখা আরো বড় হতে থাকবে সেহেতু খড়ের বা নারিকেলের রশি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। এতে কাজটি সহজেই আরো বৃদ্ধি পাবে। গাছ থেকে ফল ধরতে আরেকটু সাহায্য করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে টায়ার। প্রতিটি খুঁটির মাথায় একটি করে পুরাতন টায়ার তারের সাহায্যে আটকে দিতে হবে।

এতে গাছের মাথা এবং অন্যান্য ডগ গুলো চায়ের ভেতর দিয়ে বাইরের দিকে ঝুলে দিতে হবে ফলে ঝুলন্ত ডগায় বেশি ফল ধরার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ড্রাগন ফল অতিরিক্ত খরা বা জনপদতা সহ্য করতে পারে না তাই অতিরিক্ত গরমে 10 থেকে 15 দিন পর পর সে সেচ দিতে হবে। এছাড়াও ফল ধরেছে এমন গাছে তিনবার পানি দিতে হবে। অর্থাৎ ফুল ফোটা অবস্থায় একবার ফল ফল হয়েছে এমন সময় এবং ১৫ দিন পর আবার পানি দিতে হবে। না দেওয়া হয় এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

ড্রাগন ফলের মাধ্যমে ত্বকের যত্ন

ধারণা করা হয় প্রতিটি ফলই রূপচর্চার জন্য বিশেষ উপকারী। তার মধ্যে ব্যতিক্রম ড্রাগন ফল নয়।, ড্রাগন ফল একটি বিদেশি ফল। তাই রূপচর্চায় অনেকে মনে করেন

এটি অনেক উপকারী। আসলেই এতে রয়েছে রূপের জন্য অনেক উপকার। প্রথমে অনেকে টক উজ্জ্বল করার জন্য অনেক কিছুই ব্যবহার করেন বা করতে চান।

অনেকে এমন আছেন যারা অনেক ফলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন, ফল পেয়েছেন। ড্রাগন ফল ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিন এটি ফেসপ্যাক হিসেবে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকে একটি উজ্জ্বল আভা দেখা দেই। ত্বক মসচারাইজার করে। শীতে বা গরমে অনেক সময় আমরা মসচারাইজার ইউজ করি।

কিন্তু আমরা ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করি তাহলে একসাথে অনেকগুলো উপকার আমরা পেতে পারি তার মধ্যে ড্রাগন ফল আমাদের ত্বকে মশ্চারাইজ করে রাখতে খুব বেশি সাহায্য করে। ড্রাগন ফলে রয়েছে হাইড্রেটিং এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এটি ব্যবহার করলে ত্বক মশ্চারাইজড হয়ে যায়। আর ত্বক মশচারাইজ হওয়া মানে ত্বক নরম ও কোমল হওয়া। রোদে পোড়া থেকে ত্বকের যত্ন নেন ড্রাগন ফলের মাধ্যমে।

ফলটিতে রয়েছে বি৩ ভিটামিন যা রোদে পোড়া তাকে যত্ন নিতে অনেক বেশি সাহায্যকারী। আমরা প্রায় রোদে কাজ করি বা কোথাও যাওয়া আসার সময় ত্বকের ওপরে রোদ পড়ে ত্বক পুড়ে যায়। এক্ষেত্রে অনেক সময় অনেক ধরনের অসুবিধা দেখা দেয় যেমন ত্বক জ্বালাপোড়া, চুলকানি ও লাল ভাব। এগুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে ড্রাগন ফলের আপনি ইউজ করতে পারেন। টিনেজ বয়সে ব্রণের সমস্যা সর্ব প্রথমে। এই ড্রোন থেকে মুক্তি পেতে ড্রাগন ফল অনন্য।

কেননা ড্রাগন ফলে থাকে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকে ভাঙতে বাধা দেই , এটিকে উজ্জ্বল রাখে এবং স্বাস্থ্যকর রাখে। যার ফলে ব্রণ থেকে আমাদের ত্বক রেহাই পায়। ত্বকে অনেক সময় মৃত কোষ দেখা যায়। এটি কাল হয়ে ত্বকে থাকে। এটিকে দূর করতে ড্রাগন ফলের ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে স্ক্রাব করে সহজেই মৃত কোষ দূর করা যায়।

ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা

ড্রাগন ফল এমন একটি ফল যাতে অপকারিতা থেকে উপকারিতা রয়েছে অনেক বেশি। ড্রাগন ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষা করে।

এতে রয়েছে ফাইবার ও প্রোটিওলাইটিক যা হজম শক্তি উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং খাবার হজম করতে সহায়তা করে। হৃদপিন্ডের জন্য বেশ উপকারী এই ড্রাগন ফল। ফাইবার থাকার কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে মনোস্যা চুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যার হৃদপিন্ডের জন্য অনেক বেশি উপকারী।

এতে পটাশিয়াম থাকার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা রক্তনালিকে শিথিল রাখে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ফাইবার এর মাধ্যমে। ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন সি জাতকের সতেজতা বজায় রাখে এবং চোখের নিচের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলের বীজে রয়েছে ওমেগা৩ ফ্যাটি এসিড যা চুলের জন্য অনেক উপকারী।। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হাড় ও দাঁতের জন্য ভালো।

রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে ফাইবার। ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে রয়েছে লাইকোপেন প্রটেস্ট যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে ড্রাগন ফলে থাকা বিটা ক্যারোটিন। এতে থাকা ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ সাহায্য করে। এবার জানা যাক ড্রাগন ফলের অপকারিতা।

ড্রাগন ফলের মাধ্যমে এলার্জির সৃষ্টি হতে পারে। যাদের প্রথম এ খাবার খাওয়ার পর এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয় তাদের এই খাবারটি এড়িয়ে চলা উচিত। ডায়াবেটিস ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়াটা সবথেকে বেশি জরুরী। গর্ভবতী মহিলাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। যদিও ড্রাগন ফল গর্ভাবস্থায় খাবার খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।




লেখক এর মন্তব্য

ড্রাগন ফল গর্ভাবস্থায় খাওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো যদিও এতে খাওয়ার তেমন কোন খারাপ দিক নেই। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে এলার্জি সমস্যা থাকলে এটি এড়িয়ে চলতে হবে।

আমার আর্টিকেলটি যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। সবাই ভাল থাকবেন এবং দোয়া রাখবেন।নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন যদি আমার আর্টিকেলগুলো আপনার পছন্দ হয়ে থাকে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url