মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার 15 টি উপায়

প্রিয়দর্শক মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে হয়তো আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। আজকে আমরা আর্টিকেল মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব যা আপনাকে এদের ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় তার ১৫ টি বিষয়ে সম্পর্কে ধারণা দেবে। মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় জানতে হলে আপনাকে সমস্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।

প্রায় দেখা যায় অনেক মেয়ে পরিবারের চাপে, আমাদের চাপে, বা সংকোচ বোধের কারণে বাইরে গিয়ে কোন কাজ করতে লজ্জা পায়। সেই কারণে আপনারা অনলাইনে কাজ করার জন্য বা ঘরে বসে কাজ করার জন্য খোঁজাখুঁজি করেন। তো সঠিক তথ্য বা আসল তথ্য কোথাও পাওয়া যায় না। 

এ বিষয়ে আজকে আমরা আপনাদের 15 টি কাজ সম্পর্কে ধারণা দেবো যেগুলো বাসায় বসে বা অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। অনলাইনে ইনকাম বা বাড়িতে ইনকাম করার মাধ্যমে অনেক মেয়েই বাড়িতেও কিছু কাজ করার জন্য হাতে সময় পায়। 

আবার বাড়িতে বসে কাজ করার কারণে বাইরে বের হতে হয় না কারো কটু দৃষ্টি, বা খারাপ নজরও পড়ে না। এরপরও বাড়িতে অনলাইনে কাজ করার ফলে কিছু ইনকাম বাসায় আসে এবং এতে পরিবারের কিছু সাহায্য হয় সামাজিক কিছু মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। চলুন জানা যাক ১৫ টি কাজ কি কি

ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি মাধ্যম যেটা অনলাইন ভিত্তি। এবং এটি তাই সব দেশেই অনলাইন কাজের মাধ্যমে আয় করার প্রথম অপশন। ঘরে বসে ইনকাম করতে হলে প্রথম আপনাকে জানতে হবে কিসের মাধ্যমে মানুষকে সেবা প্রদান করা যায়। ঘরে বসে মানুষকে সেবা প্রধানের প্রধান উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। যা অনলাইনে কাজটি সম্পাদন হয়ে থাকে। 

আরও পড়ুনঃশষা খাওয়ার অপকারিতা গুলো কী কী জেনে নিন

বর্তমানে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে। আর মধু উল্লেখযোগ্য -ফাইবার, আপওরয়ার্ক ইত্যাদি। এসব মার্কেটপ্লেসে আপনি চাইলে গিগ সার্ভিস এর মাধ্যমে অথবা ঘন্টা হিসেব করে সার্ভিস প্রধানের মাধ্যমে আপনি আপনার কাজের মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন। 

যে কোন প্রজেক্ট প্রদানের পর সেখানে বায়ার যদি আপনাকে কাজের অনুমোদন দেয় তাহলে আপনি সেই কাজটি এবং আপনার আয় নিশ্চিত করতে পারবেন। এখানে পেমেন্ট আপনি গ্রহণ করতে পারেন ব্যাংকের মাধ্যমে। এ ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যাপারটি পুরো অনলাইন ভিত্তিক ঘরে বসেই।

ঘরে বসে আয় করার জন্য আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ব্লগিং। প্রায় দেখা যায় ব্লগিং করে অনেক টাকা আয় করা যায়। ব্লগিংয়ের জন্য আপনাকে প্রথমত একটি সাইট তৈরি করতে হবে। নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করলে এবং পরবর্তীতে সেখানে লেখালেখি করে বা বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করলে সেখান থেকে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন ঘরে বসে। ব্যাপারটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার ওপর, আপনি কিভাবে পাবলিশ করছেন পরবর্তীতে লোক আপনার ওয়েবসাইটে ডিলিট করবে কিরের মাধ্যমে এডসেন্স থেকে টাকা পাওয়া যাবে।

গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় বলতে বোঝায় নিজের একটি ব্লগ ওয়েবসাইটে অ্যাডস অ্যাড দিয়ে ইনকাম করা। এক্ষেত্রে আপনি যতগুলো আর্টিকেল পাবলিশ করবেন সেখানে এড যুক্ত করে করতে হবে। এরপর অধিক মানুষ এই ওয়েবসাইটটিতে ঢুকে আর্টিকেল পড়বে এবং এডগুলো দেখবে এবং এডস এ ক্লিক করবে তত বেশি এডসেন্স থেকে টাকা আসবে। অনলাইনে সব থেকে বেশি নিরাপদ একটি জায়গা হল এই google এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা আয় করা।

এফিলেট marketing বলতে বোঝাই এমন এক ধরনের মার্কেটিং যা ওয়েবসাইট থেকে অন্যের একজনের প্রোডাক্ট প্রচারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। আপনার ওয়েবসাইট থেকে যতগুলো প্রোডাক্ট বিক্রি করা হবে আপনার কমিশন থাকবে। কমিশনের মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।

এসিস্ট্যান্ট হতে কেনা চাই, এ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হলো লোভনীয় চাকরি। এই কাজটি করতে আপনাকে ঘরে বসেই করা যাবে। কেননা আপনি যে কোন একটি কোম্পানির এসিস্ট্যান্ট হতে হলে শুধু ডিভাইস দিয়েই আপনাকে কাজ করতে হবে।। সেটা আপনি ঘরে বসে অনলাইনে মাধ্যমে থেকে করতে পারবেন। বর্তমান সমাজে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্টের চাহিদা রয়েছে অনেক বেশি। অবশ্য আপনাকে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী সেই কোম্পানি নিবে।

বর্তমানে প্রায় ঘরে ঘরেই ইউটিউব থেকে আয় করে থাকে। এটাকে বলা হয় ইউটিউব মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ব্যবহার করেই বর্তমানে নানা ধরনের মার্কেটিং করা যায়। আপনি যদি চান একজন ইউটিউব মার্কেটিং করবেন একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। এখন আপনাকে নিত্যদিনের বিভিন্ন ধরনের মজাদার কৌতুহলী শিক্ষণীয় ভিডিও তৈরি করে আপলোড দিতে হবে। 

আপনার ভিডিওতে যত বেশি ভিউ আসবে তত বেশি আপনার চ্যানেলটি বৃদ্ধি পাবে। এবং এই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে হবে। আপনার চ্যানেলের ভিডিও থেকে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে সে বিজ্ঞাপন থেকে আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারবেন সে বিজ্ঞাপন থেকে ঘরে বসে আপনি আয় করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়

বর্তমানে মার্কেটিং টি হচ্ছে প্রধান ঘরে বসে আয় করার একটি অবস্থা। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অনেক ধরনের হয়ে থাকে। যেমন -ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, google, ফাইবার ইত্যাদি। তবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর এতগুলো উপায় এর মধ্যে ফেসবুক মার্কেটিং টি একটি জনপ্রিয় মার্কেটিং। এখানে আপনি একটি বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির প্রচারণা করতে পারেন। পেজের ফলোয়ার যত বেশি বাড়বে তত বেশি ভালো হবে। পাশাপাশি ফেসবুক পেজ বিক্রি করেও কামানো যায় ফেসবুক মার্কেটিং থেকে।

বর্তমানে কনটেন্ট রাইটার এর চাহিদা রয়েছে। এটি একটি গুগল ওয়েবসাইট থেকে আর্টিকেল লেখা পাবলিশ করলেই হয়ে যায়। ঘরে বসে কনটেন্ট লিখে আয় করতে পারেন আপনি। আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আপনি আপনার আর্টিকেলে অনেকগুলো অ্যাড যুক্ত হতে পারেন। এবং যারা আপনার আর্টিকেলটি দেখবে এবং পড়বে তারা সেই অ্যাড দেখার মাধ্যমে আপনি গুগল এডসেন্স থেকে টাকা পেতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন হল ফ্রিল্যান্সিং এর আরেকটি পথ। একটি হলো মার্কেটিং আরেকটি হল গ্রাফিক্স ডিজাইন। যদিও গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে একটু বেশি সময় লাগে তবুও গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আপনি মার্কেট প্রাইস থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারেন। 

আরও পড়ুনঃব্যাংক লোন কিভাবে নেবেন- বাংলাদেশের সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক 

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর বেশি চাহিদা। তুই চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে গিগ সাজাতে পারেন। তারপর আপনি আপনার ডিজাইন বিক্রি করে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে পারেন। যেহেতু গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রচুর পরিমাণ চাহিদা রয়েছে এখন সেহেতু দক্ষতা ও কাজে সঠিক উপস্থাপনা বৃদ্ধি করতে হবে।

বর্তমানে ইংরেজি ভাষা জানার পাশাপাশি অন্য কোন ভাষা জানা থাকলে কাজে লাগে আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। এটা বলার কারণ হলো, লাইনে বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট অনুবাদ করে দিতে টাকা দেওয়া হয়। যেখানে আপনি চাইলে অনুবাদ করে দিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারেন। 

এক্ষেত্রে যারা আরবি ফ্রেঞ্চ স্প্যানিশ ও জার্মান সব অন্যান্য ভাষা তে পারদর্শী তারা এসব ভাষা ইংরেজি অনুবাদ অথবা ইংরেজি ভাষা থেকে তাদের ভাষায় অনুবাদ করে দিয়ে আয় করতে পারেন। অনেক সময় এসব দেশের মানুষেরা সময়ের অভাবে ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে এ ধরনের অনুবাদ করিয়ে নিয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে এ ধরনের কাজ পেয়ে থাকবেন।

বর্তমানে অনলাইন টিউটর একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। অনেকে আছে যারা ঘরের বাইরে গিয়ে পড়ালেখা করতে আনইজি ফিল করে। তারা চায় এমন একজন শিক্ষক যে কিনা অনলাইনের মাধ্যমে সবকিছু বুঝিয়ে দিবে। 

এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার দক্ষতা দেখিয়ে অনলাইনে শিক্ষা দিতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি অনলাইন থেকে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। এখন যেহেতু অনলাইনে অনেক বেশি বেড়েছে এবং ছেলে মেয়েরা বা শিক্ষার্থীরা এ ধরনের শিক্ষাই ঝুঁকে পড়েছে। আপনি সব ধরনের বয়সের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে পারবেন।

পিটিসি হলো এমন একটি যেখানে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে আপনাকে অর্থ দেওয়া হবে। এটা হল এমন বিষয়ে যেটা অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে কিন্তু নির্দিষ্ট আপনাকে বলে দেয়া হয়েছে এই ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনাকে ওয়েবসাইটের অ্যাডস সে ক্লিক করতে হবে, এবং সেই মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন। খেয়াল রাখবেন যে অধিকাংশ পিটিসি সাইড গুলো নকল বা ভুয়া হয়। আগে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে সাইটটি, তারপর কাজটি করবেন।

আরও পড়ুনঃনাভির পাশে পেট ব্যথা হয় কেন-ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় 

ডাটা এন্ট্রি

ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে এবং দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে টাইপিং দক্ষতা থাকলে আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। এটি সাধারণত একটি ক্লায়েন্টের ডাটা এন্ট্রির ও নির্ভুলভাবে টাইপ করতে হবে। এখন অনেক নারীরাই ডাটা এন্ট্রি করে আয় করছে।

এখন সাধারণত ফেসবুক মার্কেটিং এ অনেকে আছে যারা রিভিউ করে অনলাইন ভিত্তিক টাকা ইনকাম করছে। যদি আপনি মনে করেন নিজেকে অনলাইনে শো করে প্রসাধনী রিভিউ দিয়ে টাকা ইনকাম করবেন, আপনার জন্য আরো একটি উপায় হবে।

অনেকে আছে যারা উদ্যোক্তা হিসেবে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে থাকে। এটির মাধ্যমে আপনিও ঘরে বসে আয়। তবে অবশ্যই মাথায় রাখবেন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য বেশ কিছু সময় লাগে। এখানে আপনাকে কিছু অ্যামাউন্ট নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। ঠিক নিজের ব্যবসা করার মত অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা।

অনলাইন ভিত্তিক কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্য আপনাকে ধৈর্যটা একটু ধরে রাখতে হবে এসব কাজ করার জন্য। অনলাইনে অনেক সময় ফ্রড থাকতে পারে। আপনাকে দিয়ে কাজ করে নেবে ঠিকই, টাকা দেওয়ার সময় খুঁজে পাওয়া যাবে না। ক্ষেত্রে সাবধান ভাবে কাজ করাই উত্তম।

আর্টিকেলটা যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। সবাই ভাল থাকবেন এবং দোয়া রাখবেন। নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন যদি আমার আর্টিকেলগুলো আপনার পছন্দ হয়ে থাকে। এবং এখানে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে অবশ্য কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। ধন্যবাদ।