লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
প্রিয় দর্শক লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে হয়তো আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। আজকে আমরা এ আর্টিকেলের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব যা আপনাকে লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা দেবে। লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
প্রিয় দর্শক এখানে আমরা আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করছি তার মধ্যে লিচু গাছের পরিচর্যা, গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া যাবে কিনাওর ওজন বাড়ে কিনা এ বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য। এরকম আরো এ সমস্ত তথ্য পেতে টি মনোযোগ সহকারে দেখুন ও পড়ুন।
ভূমিকা
গবেষকদের মতে লিচুর চাষাবাদ শুরু হয় চীনের দক্ষিণ অঞ্চল, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে। লিচু একটি মিষ্টি ফল। লিচু সাধারণত মে থেকে জুন মাসের মধ্যে হয়ে থাকে। এই ফলটি চাহিদা বাংলাদেশে অনেক বেশি। লিচুতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা ত্বক, দাঁত ও হাড়ের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
লিচুর সবচেয়ে ভালো জাত কোনটি?
ধারণা করা হয় লিচু প্রথম উৎপাদিত হয় চীনে। এই লিচুর প্রায় দুইশটি জাত রয়েছে যার মধ্যে বেশ কয়েকটি জাত আমরা আজ জানব। বাংলাদেশ সাধারণত ৭-৮ জাতের লিচু চাষ করা হয়। তার মধ্যে বেশি প্রচলিত হলো চায়না ৩ ও কাট লিচু।তবে চায়না ৩ লিচুটি বেশি কেনাবেচা হয় এবং এটি বাংলাদেশের মানুষের বেশি পছন্দের লিচু।
চায়না-৩ লিচুঃ বাংলাদেশে চায়না ৩ লিচু কে বারি লিচু-৩ হিসেবে মানুষ বেশি চেনে। গবেষকদের মতে এটি একটি নাবিজাতের লিচু যা সকল জাতের লিচুর মধ্যে আকার কোষের গড়ন এবং স্বাদের বিচারে বাংলাদেশে সবচেয়ে উন্নত জাত। এ জাতের লিচু গাছ ছোট থেকে মাঝারি আকারের হয়। এই গাছের গড় প্রতি ফলন হয় ১০৪ কেজি। তবে সমান হয় না কোন বছর কম হয় কোন বছর বেশি হয়। লিচুর ওজন হয় প্রায় ২৫-৩০গ্রাম এবং লিচুটি দেখতে গোলাকার হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ উন্নতমানের বেগুন চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
কাঠলিচুঃ এই জাতের লিচু সুস্বাদ ধরনের। এই ফলটিকে লং- গান বা আঁশফল নামেও চেনে অনেকে।এ জাতের লিচু গাছ মাঝারি আকারের হয় যা ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এ জাতের গাছের পুষ্প পুং পুষ্পক এবং উভলিঙ্গ পুংকেশর আটটি হয়ে থাকে।
লিচু গাছের পরিচর্যা ও চাষ?
যেহেতু আমরা জেনেছি বাংলাদেশে দুইটি লিচু গাছের বেশি পরিচর্যা করা হয়। তাহলে আমরা সেই দুইটি নিচু গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
চায়না-৩ লিচুঃ এই জাতের লিচু সাধারণত জুন মাসের শেষ সপ্তাহে পাকে এবং পাকার পর খোসার রং কিছুটা সম্পূর্ণ লাল না হয়ে কিছুটা কমলা রঙের ছোপ ছোপ থাকে। এই জাতের লিচু কাঁচা বা পাকা অবস্থায় মিষ্টি ও ছাদে অতুলনীয়। লিচুটির স্বাদ অত্যন্ত মিষ্টি, নরম ও সুগন্ধযুক্ত। এই জাতের লিচুর বীজ অনেক ছোট হয়।
লিচুটি বড় হওয়ার সাথে সাথে বৃষ্টি ঢুকাতে থাকে এবং চিকন ও লম্বা হয়। এ জাতির লিচু বড় হওয়ার পর বেশি পেকে গেলে খোসা ফেটে যেতে থাকে। যেহেতু এই লিচুটির স্বাদ অতুলনীয় এবং অত্যন্ত মিষ্টি সেহেতু অন্যান্য জাতের থেকে এই জাতির লিচুর ওপর পোকার আক্রমণ তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে চাষকৃত লিচুর মধ্যে চায়না-৩ হলো সবচেয়ে ভালো জাত এবং সবচেয়ে বেশি চাষকৃত লিচু।
বাংলাদেশে এখন প্রায় সব জায়গাতেই এই লিচু চাষ হয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তর ভাবে লিচু চাষ হয়ে থাকে রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ ও চট্টগ্রাম জেলায়।বাংলাদেশে এই লিচুর চাষ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এই জাতের লিচু চাষ করতে হলে প্রথমে উঁচু বা মধ্যম উঁচু জাতীয় জমি বাছাই করতে হবে। লিচু গাছ লাগানোর পূর্বে চাষের জমি অবশ্যই আগাছা মুক্ত করতে হবে। বাসস্থানে গাছ রোপন করতে চাইলে জমি প্রস্তুত না করলেও চলে সেখানে সরাসরি কাজ রোপন করলে লিচু গাছটি স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়।
কাঠলিচুঃকাট লিচু গাছটি সাধারণত ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এই গাছটি শীত বা তুষার সহ্য ক্ষমতা কম। এই গাছটি একটি ক্রান্তি অঞ্চলের বৃক্ষ এবং এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার উদ্ভিদ। শীতল অঞ্চল বা শীত প্রবাহ দেশে এই লিচু উৎপাদন হয় না। যে দেশে তাপমাত্রা ৪০° ফারেনহাইট এর ওপরে থাকে সেই দেশ বা অঞ্চল এই গাছ চাষের জন্য উপযুক্ত।
আরও পড়ুনঃ সঠিক পদ্ধতিতে পটল চাষ করার উপায়
তবে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন এই গাছটির সর্বশেষ ধারণক্ষমতা থাকে 28° এর ওপরে। ২৮ ডিগ্রি গাছটি মারা যেতে পারে। এই গাছ চাষের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। কোন জমিতে একাধিক গাছ রোপন করতে চাইলে ভালোভাবে জমিটি আগাছা মুক্ত করে নিতে হবে এবং সার দিয়ে ভালোভাবে মাটিটি গড়ে তুলতে হবে। এতে কাজটি লাগানোর পর তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে ও গাছটি ভালো থাকবে। কাট লিচু ধরার সময়ও মে-জুন মাস।
লিচুতে কোন ভিটামিন থাকে?
লিচু একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। যেটা অনেক রসালো। তে রয়েছে মানে মিনারেল ও ভিটামিন। বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। এই দেশে ঋতুতে একেক রকম ফল পাওয়া যায় সেগুলো মানুষের শরীরের গুরুত্ব পূর্ণ চাহিদা পূরণে ভূমিকা পালন করে। লিচু যেহেতু রসালো ফল এর ভেতর রয়েছে মিনারেল।এবং বাইরে রয়েছে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট।
এটায় ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় সবার জন্যই উপযুক্ত। তবে ডাক্তার বলেন যারা ডায়াবেটিস এর রোগী তাদের জন্য এই ফল কম খাওয়াই উচিত। লিচুতে রয়েছে এপিকেচিন ও রুটিন এর মত দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ যা গরমে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পালন করে থাকে।এই ফলটিতে রয়েছে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫০,যেটা ধীরে ধীরে রক্তের মধ্যে সুগার প্রবেশ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও এতে রয়েছে ফাইবার যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। তবে একজন ডায়াবেটিসের রোগী যদি রসালো ফলটি খেতে চাই এবং তার ডায়াবেটিস যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে বড় আকারের ৬ টি লিচু খেতে পারবেন।তবে একজন বিশেষজ্ঞের মতে শুধুমাত্র ডায়াবেটিসের রোগী নয়, একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষেরও বেশি লিচু খাওয়া উচিত নয়। কারণ লিচু শরীরকে গরম করতে সাহায্য করে।
এছাড়া লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়াও আরো কিছু খনিজ উপাদানগুলো হচ্ছে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড ইত্যাদি। যথেষ্ট পরিমাণে থাকে।এজন্যই একজন ডাক্তার মনে করেন দৈনন্দনিক চাহিদা পূরণে লিচু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই মৌসুমী ফল যতটা সম্ভব এবং ডাক্তার পরামর্শ নিয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা
লিচু যেহেতু রসালো ফল সেহেতু এটি সবার মধ্যেই একটি আকর্ষণের সৃষ্টি করে। তবে এই ফলটি বেশি খেয়ে ফেললে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। তাই লিচু খাওয়ার আগে উপকারিতা জানার সঙ্গে সঙ্গে অপকারিতা জানারও বেশ দরকার। লিচু শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং লিচুতে যেহেতু রয়েছে ভিটামিন সি তাই এটি ত্বক, দাঁত ও হাড়ের জন্য বেশ উপকারী।
লিচু তো রয়েছে এক ধরনের উপাদান যার নাম ফ্ল্যাভানয়েডস যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বক উজ্জ্বলতার জন্যও লিচুরগুলো তো অপরিসীম। আবার অনেকে বলে বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে এই লিচু কারণ এতে আছে প্রচুর পরিমাণে আন্টি- অক্সিডেন্ট। লিচুতে থাকা পটাশিয়াম আমাদের রক্ত শারীরিক মাত্রায় রাখে।
ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার লিচুতে থাকে হাইপোগ্লাইসিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, যা শরীরে শর্করা উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে। অনেক সময় দেখা যায় অনেক শিশু খালি পেটে লিচু খেয়ে ফেলে সেক্ষেত্রে শরীরের শর্করা কমে গিয়ে খিচুনি ও বমি লক্ষণ দেখা যায় এবং শুরু হয়।
আবার যারা ডায়াবেটিস এর রোগী তারা যদি অতিমাত্রায় লিচু খেয়ে ফেলে তাহলে তাদের শর্করা কমে যায় ফলে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।লিচু হল একটি গরম জাতীয় ফল। এটি অতিমাত্রায় খেলে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নষ্ট করে যার ফলে গলা ব্যথা ও অনেক সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়।
গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া যাবে কি?
গর্ভাবস্থায় প্রত্যেকটি নারীকে খুব সচেতন থাকতে হয়। এই সময় চলাফেরা, জীবন ধারনা ও খাদ্যের ব্যাপারে সচেতন হলে অনেক ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। অনেকেই এই সময় অনেক খাবার খেতে ভয় পাই। তেমনি অনেক নারী আছে কিছু খাওয়া নিয়ে দ্বিধাবোধ করে। লিচু হল একটি গ্রীষ্মকালীন ফল।যেহেতু এটি একটি সাময়িক ফল সেহেতু গর্ভাবস্থায় মায়েরা যদি এ ফোনটি খেতে চায় তবে বেশ কিছু উপকার পেতে পারে।
এই প্রথম উপকার এই লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যারক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।আবার এতে থেকে পটাশিয়াম যার কারণে একজন মানুষের দেহের হার্টবিট ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। লিচু ডায়াবেটিকস এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। লিচুতে রয়েছে ফাইবার। ফাইবার সমৃদ্ধ লিচু খেলে হজম শক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
আরও পড়ুনঃ শষা খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি কি
তবে অতিরিক্ত লিচু খেলে শরীরের গলা ব্যথা, রক্তক্ষরণ ও মুখে আলসারের মতো কঠিন জটিলতার রোগ দেখা দেয়। এটি যেমন রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে তেমনি অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তচাপ কমলে চোখে ঝাপসা দেখে, মাথা ঘোরায়,বমি বমি ভাব আসে, ঠান্ডা লাগতে শুরু করে, এবং চরম ক্লান্তির মত সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় খালি পেটে লিচু খেলে শরীরে বিভিন্ন স্থানে বিষক্রিয়া দেখা দেয়। যেহেতু অতিরিক্ত লিচু খেলে শরীরের তাপমাত্রায় বেড়ে যায় সেহেতু দিনে কমপক্ষে তিন থেকে চারটি লিচু খাওয়া যাবে যারা গর্ভাবস্থায় রয়েছে।
লিচু কখন খাওয়া ভালো?
যেহেতু লিচু একটি গরম ফল গরম ফল এবং এতে হাইপোগ্লাইসিন নামক এক ধরনের পদার্থ থাকে যার মাধ্যমে শর্করা সৃষ্টি হতে বাধা প্রদান করে। অতএব এটি খালি পেটে খেলে অনেক সমস্যা দেখা দেই। যেমন -বমি ও নাক দিয়ে রক্ত পড়া। অনেক সময় খিচুনির ও সৃষ্টি হয় যা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াই। এটি কখনোই সকালে খালি পেটে খাওয়া যাবেনা। আবার রাতেও এটি খেয়ে ঘুমানো যাবে না। কারণ এতে শর্করার মাত্রা কমে যায়। এজন্য লিচু খাওয়ার ভালো সময় হলো দুপুরে ঠিক আগে বা দুপুরের খাবারের পরে। তবে রাত্রে লিচু খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো।
লিচু খেলে কি ওজন বাড়ে?
যেহেতু লিচু একটি রসালো ফল ও অনেক সুস্বাদু সেহেতু অনেকেই ভয় পায় লিচু খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। তবে পুষ্টিবিদদের মতে লিচু খেলে ওজন বাড়েনা বড়ং ডায়েট চার্টে বা রোগা হতে চাইলে লিচু খাওয়া যাবে। লিচুতে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান। যেহেতু লিচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি সেহেতু এটিতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। যার ফলে এটি ওজন বৃদ্ধি করে না।
লেখক এর মন্তব্য
লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে লিচু অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া যাবেনা। আবার লিচু ওজন কমাতে দারুন ভাবে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে লিচুর যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিত রয়েছে।
আমার এ আর্টিকেলটি যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। সবাই ভাল থাকবেন এবং দোয়া রাখবেন। নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন যদি আমার আর্টিকেলগুলো আপনার পছন্দ হয়ে থাকে।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url