শষা খাওয়ার অপকারিতা গুলো কী কী জেনে নিন


প্রিয় দর্শক শষা কেন খাবেন এ বিষয়ে বা সম্পর্কে হয়তো আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। শসা কেন খাবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মনোযোগ সহকারে সমস্ত আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।




প্রিয়দর্শক এখানে আমরা আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করছি তার মধ্যে খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা এবং ওজন কমাতে শসার গুরুত্ব কি ও শষা খাওয়ার অপকারিতা কী কী সেগুলো উল্লেখযোগ্য। এরকম আরো ইম্পোর্টেন্ট তথ্যগুলো পেতে সমস্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

শসা কে না পছন্দ করে।ছোট থেকে বড় সবাই পছন্দ করে এই খাবারটি খেতে সেটা হোক কাঁচা বা কোন সবজির সাথে সালাদ করে।শসা খাওয়ার যেমন উপকারিতা আছে তেমনি অতিরিক্ত শসা খাওয়ার ফলে অনেক সমস্যায় দেখা দেয়।যেমন খালি পেটে শসা খেলে আমাদের শরীরের ওজন হ্রাস করে।

যারা ওজন কমানোর জন্য একটি ডায়েট চার্ট তৈরি করে তাদের জন্য এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। শসা ত্বকের জন্য অনেক অসাধারণ। তবে অতিরিক্ত শসা খেলে অনেক অসুখ এর কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই শসা খাবারটি।এইসব বিষয়ে এখন বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

শসা খাওয়ার নিয়ম

শসা এমন একটি ফল যার মধ্যে ভিটামিন সি ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম এ ভরপুর। এই ফলটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এতে একদিকে যেমন ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম তেমনি পানির পরিমাণ অনেক বেশি।যেহেতু আমরা জানি পানিরতে তেমন ক্যালরি থাকে না তাই এটি ওজন কমাতে দারুনভাবে সাহায্য করে।
তবে অতিরিক্ত শসা খাওয়া যাবেনা শসা খাওয়ার একটি নিয়ম থাকতে হবে। যেমন বিশেষজ্ঞদের মতে তারা বলেন খালি পেটে শসা খাওয়া যাবেনা এবং রাত্রে ঘুমানোর আগে শসা খাওয়া যাবেনা।আবার প্রতিদিন ৫-৬ টা শসা খাওয়া যাবেনা, দুই থেকে তিনটি শশা খেতে পারেন। এক্ষেত্রে শষা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে অবগত হওয়া উচিত।

ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম

শসাই রয়েছে ৯৫% পানি। যেহেতু শসাই পানির পরিমাণ বেশি রয়েছে এবং ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম রয়েছে ফলে দেহের ওজন কমাতে এটা দারুন ভাবে সাহায্য করে।যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য শসা একটি আদর্শ ফল হিসেবে কাজ করতে পারে। যেহেতু সব জিনিস এরই একটি ভালো ও খারাপ দিক রয়েছে তাই ওজন কমাতেও শষা খাওয়ার অপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া উচিত।

ডাইট চারটে শসা জুস অথবা সালাদ করে খাওয়া যেতে পারে। শসা চিবিয়ে খেলে হজমে অনেক সাহায্য করে। এই ক্ষেত্রে শসা সকালে এবং দুপুরে খাওয়ার আগে খেতে হবে। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে শসা নিয়ম মত খেলে ৭ কেজি ওজন কমে। যা একটি শরীরে দারুন ইফেক্ট ফেলে।

শসা কেন খাবেন

আমরা আগেই জেনেছি শসা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এবার জানবো শসা শরীরে আরো কত ভালো প্রভাব ফেলে। শসা শরীরের বিষাক্ত তা দূর করে এবং আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা জাদুর মত কাজ করে। শসা খাওয়ার ফলে শরীরের কিডনিতে যদি পাথর সৃষ্টি হয় তাহলে তা গলে যাই। 

শসা শরীরের অনেকগুলো ভিটামিন এর অভাব পূরণ করে। আমাদের দেহে প্রতিদিনই প্রায় অনেকগুলো ভিটামিন এর দরকার হয় সেগুলো হলো ভিটামিন এ বি ও সি। এই ভিটামিন গুলো আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।শসা হজমের ক্ষমতা বাড়াই। শসাই পটাশিয়াম থাকাই রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।গরমে শসা খেলে ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তি দেয়।



শসা খাওয়ার অপকারিতা

শসা যেমন গুনে গুণান্বিত তেমনই অতিরিক্ত শসা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ডায়েট চার্টের কারণ হিসেবে শসা দিনে অতিরিক্ত খেলে বা ক্ষুধা লাগলেই শসা খেলে শরীরে বদ হজম সৃষ্টি করে, গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়, পেট ফেঁপে যায়, পেট ব্যথাও করে এবং বমি বমি ভাব দেখা দেই। ওজন কমানোর জন্য শসা অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা না হলে ওজন না কমে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিবে। শসা খেলে মাথা ধরা থেকে মুক্তি দেয়।

ত্বকে শশার উপকারিতা

শসার অনেক গুরু উপকারের মধ্যে এটি আরেকটি বড় উপকার। শসা গুনে গুণান্বিত। শশায় রয়েছে ৯০% পানি যা ব্রণের সমস্যা দূর করে বা নিয়ন্ত্রণ করে। অনেক সময় বাইরে ঘোরাঘুরির ফলে সানবার্ন এর সমস্যা দেখা দেয় এবং ত্বক জ্বালাপোড়াও করে এক্ষেত্রে শসার রস লাগালে সমস্যা সমাধান হয়। শসা রস লাগালে ত্বক ঠান্ডা রাখে। 

বিভিন্ন সময় এই রাত জাগার ফলে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল পরে এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিলে ডাক্তার সাজেস্ট করে শসা। শসা কে গোল করে কেটে চোখের ওপর ১০ থেকে ২০ মিনিট রাখলে ডার্ক সার্কেল কমে এবং চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বকের ক্লান্তি দূর করতে শসার কোন বিকল্প নেই। অনেক সময় দীর্ঘদিনের পোড়া ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দেয় শসার পেস্ট।

ঘুমানোর আগে শসা খেলে কি হয়

সাধারণত শসা সকালে এবং দুপুরে হাওয়ার পরামর্শ দেই বিশেষজ্ঞরা। কারণ শসা হজম হতে সময় নেই। এক্ষেত্রে রাতে শসা খেলে খাবার খাওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে শশাটা খেতে হবে। রাতে শসা খেলে ঘুমের মান বাড়াই। যদিও তেমন কোনো সমস্যা করে না ঘুমানোর আগে শসা খেলে তবুও হজমে সময় নেওয়ার জন্য খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে খাওয়াই ভালো।

বিভিন্ন অসুখে শসা

শসা এমন একটি ফল যার মধ্যে একাধিক ভিটামিন রয়েছে এবং একাধিক অসুখের ফলাফল রয়েছে। শসা ওজন কমাতে সাহায্য করে। চোরের রক্তচাপ ঠিক রাখে এবং ঘুমের মান বাড়াই। পটাশিয়াম বৃদ্ধি করে। ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত থাকলে তা মেরামত করে। শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও হাড়ে সমস্যা থাকলে তা সমাধান করে। কিডনির জন্য শসা অতুলনীয় এবং কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হলে তা গলে যায়। শসা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শসা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে থাকে। মুখ শুকনো হতে দেয় না।



লেখকের মন্তব্য

উপরে আর্টিকেল থেকে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে শসা অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। এবং অতিরিক্ত শসা খাওয়ার ফলে যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

আমার এ আর্টিকেলটি যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। সবাই ভালো থাকবেন এবং দোয়া রাখবেন। নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন যদি আমার আর্টিকেলগুলো আপনার পছন্দ হয়ে থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url